• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১
logo
শপথ নিয়েই জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব বাতিল করলেন ট্রাম্প
শপথ নেওয়ার পরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল করেছেন। তবে তিনি স্বীকার করেন এই আদেশ আদালত পর্যন্ত গড়াবে। স্থানীয় সময় সোমবার (২০ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই তিনি এ সম্পর্কিত এক নির্বাহী আদেশে সই করেন। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধভাবে বা শিক্ষা-পর্যটনসহ সাময়িক ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে এসে সন্তান জন্ম দিলে শিশু মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না। তবে বাবা-মায়ের কেউ আমেরিকান নাগরিক হলে সন্তান জন্মের পরই মার্কিন নাগরিক বলে স্বীকৃতি পাবে। আদেশে সই করার সময় ট্রাম্প স্বীকার করেন যে, জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার যেহেতু দেশের সংবিধানে নিশ্চিত করা আছে, তার এই আদেশ আইনগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।  প্রায় ১৫০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে জন্ম নেওয়া শিশুরা ‘জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব’ পেয়ে আসছেন। ট্রাম্প এই সাংবিধানিক অধিকারকে ‘হাস্যকর’ বলে অভিহিত করেন। নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব একেবারে হাস্যকর এবং তার বিশ্বাস এই বিধান বদলানোর জন্য ভালো আইনগত যুক্তি আছে। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ট্রাম্প। তাকে শপথ পড়ান মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। এর মাধ্যমে এক মেয়াদ বিরতিতে দ্বিতীয়বারের মতো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হলেন ট্রাম্প। এদিকে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেছেন ট্রাম্প। একইসঙ্গে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসা, মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, পানামা খাল ফেরত নেওয়া, বিদেশি পণ্যের আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধির মতো কয়েকটি ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, ২০২১ সালে ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আটক হওয়া প্রায় এক হাজার ৫০০ মানুষকেও ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি। আরটিভি/একে/এস
২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:১৪

বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন দেখতে চায় দিল্লি-ওয়াশিংটন: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
ভারতে মার্কিন বিদায়ী রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি বলেছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত দেখতে চায় দিল্লি-ওয়াশিংটন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ভারতের একটি টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে আমেরিকা ও ভারতের ভূমিকা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। এরিক গারসেটি বলেন, ‘আমরা দুই রাষ্ট্রই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রতিষ্ঠিত দেখতে চাই। এটি বাংলাদেশকে তার পরবর্তী অধ্যায় খুলতে সাহায্য করতে পারে।’ ‘ভারত ও মার্কিন সম্পর্কের জন্য বাংলাদেশ সম্ভবত একটি সমস্যা ছিল। শেখ হাসিনা সরকারের পতন ভারতের জন্য একটি ধাক্কা হিসেবে দেখা হয়। বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর উত্থানের পাশাপাশি চীনাদের দৌড়ঝাঁপ বেড়েছে। এসব বিষয় আপনারা কীভাবে দেখছেন?’  এসব প্রশ্নের জবাবে বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত সাংবাদিক সিদ্ধান্ত সিবালকে বলেন, ‘আমেরিকা-ভারত একটি শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক দক্ষিণ এশিয়া দেখতে চায়। আমরা সেই নীতিগুলো ভাগ করি। আমরা এটি একসঙ্গে সমন্বয় করছি। আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, বাংলাদেশ হোক বা যেকোনো দেশ, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করা উচিত নয় এবং আমি মনে করি আমাদের একটি সুযোগ আছে। আমরা দুই রাষ্ট্রই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রতিষ্ঠিত দেখতে চাই। এটি বাংলাদেশকে তার পরবর্তী অধ্যায় খুলতে সাহায্য করতে পারে। এটি অতীত সম্পর্কে নয়, আমরা একসঙ্গে কী করতে পারি তা নিয়ে।’ আরটিভি/এসএপি-টি
১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:৫৮

মার্কিন দূতাবাসের নতুন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হিসেবে আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন দেশটির সিনিয়র ফরেন সার্ভিসের  অভিজ্ঞ সদস্য ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। কূটনৈতিক জীবনে তিনি তিনবার যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং কসোভোতে। আলোচিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের উত্তরসূরি হিসেবে ডেভিড মিলিকে মনোনীত করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে মার্কিন সিনেটে মনোনয়নের শুনানি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ঢাকায় আসছেন না মিলি। নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত না আসা পর্যন্ত চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হিসেবে ঢাকায় আসছেন ট্রেসি এন জ্যাকবসন। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) মার্কিন দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন সাম্প্রতিক সময়ে নিকট প্রাচ্যবিষয়ক ব্যুরোতে ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। এর আগে, তিনি ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স, অ্যাড ইন্টেরিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিদেশে উচ্চপদস্থ নেতৃত্বের পাশাপাশি, প্রথমে স্কুল অব প্রফেশনাল অ্যান্ড এরিয়া স্টাডিজের ডিন এবং পরে ন্যাশনাল ফরেন অ্যাফেয়ার্স ট্রেনিং সেন্টারের উপপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ফরেন সার্ভিসের ভবিষ্যৎ গঠনে অবদান রেখেছেন অ্যাম্বাসেডর জ্যাকবসন।  এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলে ডেপুটি এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি এবং সিনিয়র ডিরেক্টর ফর অ্যাডমিনিস্ট্রেশন হিসেবে কাজ করা এবং লাটভিয়ার রিগায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দায়িত্ব পালন। অ্যাম্বাসেডর জ্যাকবসন জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব অ্যাডভান্সড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে একাধিক সম্মাননা পেয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে সেক্রেটারির ডিস্টিংগুইশড সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড, দুইটি প্রেসিডেন্সিয়াল র‍্যাঙ্ক অ্যাওয়ার্ড এবং দ্য অর্ডার ফর পিস, ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যানিজম ‘ইব্রাহিম রুগোভা’।   অ্যাম্বাসেডর ট্রেসি জ্যাকবসন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স, অ্যাড ইন্টারিম হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর মেগান বোল্ডিন ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে ডেপুটি চিফ অব মিশন হিসেবে তার পূর্বের দায়িত্ব পুনরায় গ্রহণ করবেন। আরটিভি/ডিসিএনই
০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:১১

কানাডা কখনো যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হবে না: ট্রুডো
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য বানানোর হুমকি দিয়ে আসছেন। ট্রাম্প বলেছেন, অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে কানাডাকে একীভূত হতে বাধ্য করবেন। ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কানাডা কখনো যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা একে অপরকে সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক ও নিরাপত্তা সহযোগী। এতে দুই দেশের কর্মী ও সমাজ উপকৃত হচ্ছে। কানাডা কখনো যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে না। গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতেন ট্রাম্প। এরপরই কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রীকে গভর্নর ট্রুডো এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে অভিহিত করেন তিনি। এ ছাড়া কানাডার পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করবেন বলেও জানান। ক্ষমতা নেওয়ার আগেই ট্রাম্পের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ অনেকেই। গত সোমবার ট্রুডো প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়ার অন্যতম কারণ ছিলেন ট্রাম্প। দেশটির বেশিরভাগ রাজনীতিবিদ মনে করছিলেন, তাদের ওপর শুল্ক আরোপের যে হুমকি ট্রাম্প দিয়েছেন, সেটি ট্রুডো আটকাতে পারবেন না। গত মঙ্গলবার ক্যাপিটল হিলে জয়ী প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর ফ্লোরিডায় নিজের বাড়িতে প্রেস কনফারেন্সে কানাডার ব্যাপারে আলোচনা করেন। সেখানে তিনি বলেন, কৃত্রিম সীমান্ত থেকে মুক্তি নিন। এরপর দেখুন বিষয়টি দেখতে কেমন লাগে। এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বেশ ভালো হবে। তিনি আরও বলেন, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র এক হবে, কানাডার সামরিক ব্যয় নিয়ে ট্রাম্প বলেন- তাদের সেনাবাহিনী খুবই ছোট। তারা আমাদের সেনাদের ওপর নির্ভরশীল। সব ঠিক আছে। কিন্তু আপনার জানেন, তাদের এজন্য অর্থ দিতে হয়। এটি খুবই অযৌক্তিক। ট্রাম্পকে তখন এক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডাকে একীভূত করতে তিনি সামরিক শক্তি প্রয়োগ করবেন কি না। জবাবে তিনি বলেন, না, অর্থনৈতিক শক্তি প্রয়োগ করব। আরটিভি/একে/এস
০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:০৫

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের মামলা
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজায় চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশটিকে অব্যাহতভাবে সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রতি সহায়তা কমাতে বা অভিযুক্ত ইউনিটগুলোর সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পাঁচ ফিলিস্তিনি। খবর আলজাজিরার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) মামলাটি করা হয়েছে। মামলায় বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্যাতনের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। গাজা, অধিকৃত পশ্চিম তীর ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী পাঁচ ফিলিস্তিনি মামলাটি করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের গত শতকের ৯০-এর দশকের ‘লেহি আইন’–এর আওতায় মামলাটি করা হয়েছে।  মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, লেহি আইন পররাষ্ট্র দপ্তর চাইলে প্রয়োগ করতে পারত, কিন্তু তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে নজিরবিহীনভাবে ইসরায়েলের মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন যেভাবে বেড়েছে, তা ভয়ংকর। ইসরায়েল গত বছরের অক্টোবরের শুরু থেকে গাজায় বোমবর্ষণ ও স্থল অভিযান পরিচালনা করছে। এ কারণে ৪৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ ও বিশ্বের প্রধান মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যাসহ নানা ধরনের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে। গাজায় বসবাসকারী পেশায় শিক্ষক পরিচয়দানকারী মামলার একজন বাদীর ছদ্মনাম আমাল গাজা। এই নারী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি এখন পর্যন্ত সাতবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইসরায়েলি হামলায় তার পরিবারের ২০ সদস্য নিহত হয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, আমার দুঃখ-কষ্ট ও আমার পরিবারের অকল্পনীয় ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে, যদি যুক্তরাষ্ট্র চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ইসরায়েলের ইউনিটগুলোর কাছে সামরিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে। মামলার বিষয়ে জানতে আল–জাজিরার তরফে যোগাযোগ করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, বিচারাধীন মামলা নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করে না। আরটিভি/এমএ  
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৭

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর / ২০২৩ সালে বাংলাদেশে কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলা হয়নি
২০২৩ সালে বাংলাদেশে কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।  বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক সহিংসতাকে সন্ত্রাসবাদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই সময়ে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সংস্থার বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাদের সন্ত্রাসবাদের নামে আটক করা হয়েছে। এমনকি এতে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, গত বছর সরকার কঠোরভাবে জঙ্গিদের দমনের চেষ্টার অংশ হিসেবে আল কায়েদা, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম এবং আইএসআইএস সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গোষ্ঠীর সদস্যদের আটক করেছে। এছাড়া মার্কিন সরকারের কাছে প্রশিক্ষিত বাংলাদেশে পুলিশের বিশেষ ইউনিট একাধিক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করে সাইবার নিরাপত্তা আইনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনলাইনে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তৈরি এ আইনটি সংশোধন করা হলেও এতে নাগরিকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ এবং গ্রেপ্তারের বিষয়ে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের মে মাসে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) হামলায় চট্টগ্রামে ২ সেনা নিহত এবং গত মার্চে আরও এক সেনা নিহত হন। এ ছাড়া কেএনএফের বিরুদ্ধে নতুন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়াকে (জেএএইচএস) প্রশিক্ষণের বিষয়টিও উঠে এসেছে। আরটিভি/এসএপি/এআর  
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:২২

মার্কিন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতার বাড়িতে হামলার হুমকি
মার্কিন পাঁচ ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতার বাড়িতে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কানেকটিকাট থেকে নির্বাচিত কয়েকজন জনপ্রতিনিধি। থ্যাঙ্কসগিভিং ডে-তে পৃথক বিবৃতিতে এই হুমকির কথা জানান কানেকটিকাট থেকে নির্বাচিত মার্কিন প্রতিনিধি জিম হাইমস, জাহানা হেইস, জন লারসন এবং জো কোর্টনি। জিম হাইমস বলেন, এই দেশে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আশা করি, আমরা সবাই ছুটির মৌসুমটি শান্তিপূর্ণভাবে কাটাতে পারবো। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ জাহানা হেইসকে জানায়, তার বাড়ির ডাকবাক্সে পাইপ বোমা রাখা হয়েছে- ইমেইলে এমন দাবি করা হয়েছ। তবে পরে কোনো বোমা পাওয়া যায়নি। পুলিশ এখনো তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, মার্কিন সিনেটর ক্রিস মারফিও একই ধরনের হুমকি পেয়েছেন। চলতি সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কয়েকজনও বোমা হামলার হুমকি পেয়েছেন৷ অজ্ঞাত ব্যক্তি মিথ্যা অভিযোগের মাধ্যমে অভিযানের জন্য বাড়িতে পুলিশ পাঠানোয় তাদের কেউ কেউ হয়রানির শিকারও হয়েছেন। আরটিভি/এএইচ
৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১২

৭২ কোটিতে কেনা সেই কলা ক্রেতার পেটে
৬ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে (৭২ কোটি টাকারও বেশি) কেনা ভাইরাল কলাটি খেয়ে ফেলেছেন চীনা বংশোদ্ভূত ক্রেতা জাস্টিন সান।  শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।  গত সপ্তাহে নিলামের মাধ্যমে ধূসর রঙের স্কচটেপ লাগানো এই ‘শিল্পকর্ম কলাটি’ কিনেছিলেন জাস্টিন সান। তখনই তিনি বলেছিলেন কলাটি খেয়ে ফেলবেন। অবশেষে হংকংয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে সাংবাদিকদের সামনে কলাটি খেলেন তিনি। কলাটি খেয়ে জাস্টিন সান বলেছেন, এটি অন্যান্য কলার চেয়ে অনেক ভালো। সংবাদ সম্মেলনে কলাটি খাওয়ার ঘটনাও শিল্পকর্মের ইতিহাসের একটি অংশ হয়ে উঠতে পারে বলেও জানান তিনি। এদিকে, অবাক করা তথ্য হলো নিউইয়র্কের ম্যানহাটন শহরের এক বাংলাদেশি ফল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মাত্র ৪২ টাকায় কলাটি কেনা হয়েছিল। এরপর দেওয়ালে স্কচটেপের মাধ্যমে সেঁটে দিয়ে কলাটিকে দেওয়া হয় ‘শিল্পকর্মের’ খেতাব। মাত্র পাঁচ মিনিটের নিলাম শেষে ছয় প্রতিদ্বন্দ্বীকে পেছনে ফেলে জাস্টিন সান শিল্পকর্মটি কিনে নেন। অনেকের ধারণা, জাস্টিন নিজের প্রতিষ্ঠানের প্রচার-প্রচারণার স্বার্থে কলাটি এত দাম দিয়ে কিনেছেন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সর্বপ্রথম এই অদ্ভুত শিল্পকর্মটি সামনে আসে। এটি তৈরি করেন মারিজিও ক্যাটেলান। যদিও এর আগে শিল্পকর্মের প্রদর্শনীতে রাখা কলা দেওয়াল থেকে খুলে খেয়ে পেলার ঘটনা ঘটেছে। তবে, এরজন্য কাউকে এক টাকাও দিতে হয়নি। আরটিভি/আরএ/এআর
২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৩:৩৩

মার্কিন দূতাবাসে খালেদা জিয়া
নিজের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে গিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ২টা ২২ মিনিটে নিজ বাসভবন ফিরোজা থেকে তিনি দূতাবাসের উদ্দেশে রওনা হন বলে নিশ্চিত করেছে বিএনপির একটি সূত্র।  সূত্রটি জানিয়েছে, মূলত আমেরিকার ভিসার জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে দূতাবাসে গেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এ ছাড়াও সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছাড়াও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার আছেন। আরটিভি/এসএইচএম-টি  
২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৫০

মার্কিন শ্রম বিভাগ-বিজিএমইএ বৈঠক
মার্কিন শ্রম বিভাগ এবং বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) মধ্যে বাংলাদেশের পোশাক খাতের শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে মার্কিন শ্রম বিভাগের আন্তর্জাতিক শ্রমবিষয়ক ব্যুরোর প্রতিনিধিদল এবং বিজিএমইএর মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিনিধিদলের মধ্যে ছিলেন আন্তর্জাতিক শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি এম ফে রদ্রিগেজ, ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স থিয়া লি এবং অফিস অব ট্রেড অ্যান্ড লেবার অ্যাফেয়ার্সের প্রধান অ্যান এম জোলনার। এ ছাড়াও ইউএনআই গ্লোবাল ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ক্রিস্টি হফম্যান, ওয়ার্কার রাইটস কনসোর্টিয়ামের নির্বাহী পরিচালক স্কট নোভা এবং গ্যাপ ইনক, পিভিএইচ করপোরেশন এবং ভিএফ করপোরেশনসহ প্রধান বৈশ্বিক ফ্যাশন ব্র্যান্ডসমূহের সিনিয়র প্রতিনিধিরা। আলোচনায় বিজিএমইএ পক্ষে নেতৃত্ব দেন প্রশাসক আনোয়ার হোসেন এবং তার সঙ্গে ছিলেন বিজিএমইএ পরিচালনায় গঠিত সহায়তা কমিটির সদস্য ও বিজিএমইএ নেতারা। বৈঠকে শ্রমিকদের অধিকার, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, শ্রম আইন সংস্কার এবং বাজারে প্রবেশাধিকারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তৈরি পোশাক খাতের মূল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে বিজিএমইএ প্রশাসক আনোয়ার হোসেন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, শ্রম অধিকার এবং শ্রম আইনের সংস্কারের ক্ষেত্রে পোশাক শিল্পের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিগুলো সম্পর্কে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন। আলোচনায় বিজিএমইএ সহায়তা কমিটির সদস্যরা শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণ বাড়াতে বাংলাদেশ সরকার এবং পোশাক শিল্পের চলমান প্রচেষ্টাগুলোর কথা তুলে ধরেন। মার্কিন প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশেষ করে শ্রম পরিস্থিতির উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তবে তারা বাংলাদেশ শ্রম আইন (বিএলএ) সংশোধনসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে আরও উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বৈঠকে আরও টেকসই, ন্যায্য এবং শক্তিশালী পোশাকখাত গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ, মার্কিন সরকার এবং শিল্পের স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে অব্যাহত সহযোগিতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, চার দিনের সফরে শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ঢাকায় এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল।  সোমবার (২৩ নভেম্বর)  শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হবে। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) প্রতিনিধি দলটির ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে। আরটিভি/এমএ-টি  
২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়